পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, দেশে শান্তি আছে বলেই উন্নতি হচ্ছে, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মহাসড়কে আমরা যাত্রা করছি।
তিনি বলেন, সুশীলরা গণতন্ত্র চান না। কারণ, সুশীলদের জনগণের কাছে এক পয়সা দাম নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে ‘তিনা’রা দাম পান। এই কয়দিন কাপড়-চোপড় বানিয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয় কি না? সুশীলদের কথা শুনে লাভ নেই, জনগণের কথা শুনতে হবে।’
একদিনের সংক্ষিপ্ত সফর শেষে সিলেট ছেড়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণে বিশ্বাসী। জনগণের কাছে যেতে আমাদের অসুবিধা নেই। আমরা গণতন্ত্রের যে ধারা সেটিকে আমরা অব্যহত রাখতে চাই। আমরা অবশ্যই নির্বাচন করব। আমরা ওয়াদা করেছি, ফ্রি এন্ড ফেয়ার ইলেকশন করব।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার দিতে পারে এমন গুঞ্জনের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো বিশেষ ভাবনা আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তারা আমাদের ভালোর জন্য যদি উপদেশ দেয় তবে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব। ইতিমধ্যে বলে রাখি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আসার পর আমাদের পোশাক কর্মীদের পর বেতন বাড়তে বাড়তে এখন সাড়ে ১২ হাজার হয়েছে। এক সময় যা ছিল মাত্র দেড় হাজার টাকা। কিন্তু যারা ক্রেতা তারা বাড়তি দাম দিতে চায় না, পারলে আরও কমাতে চায়। এ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী পোশাককর্মীদের বেতন যে শুধু বেড়েছে। তাদের খাওয়া-বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি মাতৃত্বকালীন ছয় মাসের সবেতন ছুটির ব্যবস্থা করেছেন। এ ধরনের অনেক উদাহরণ রয়েছে। সব মিলিয়ে এ সরকার শ্রমিকবান্ধব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে শ্রমিকদের শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আন্ত্রর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আ্ইএলও) সাথে কাজ করছি, আমেরিকার সঙ্গেও কাজ করছি। সুতরাং এ নিয়ে আমরা মেটেও চিন্তিত নই।
এরপরও যদি নিষেধাজ্ঞা আসে, অর্থনীতিতে কীরূপ প্রভাব পড়তে পারে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, চিলে কান নিয়ে গেছে শুনেই চিলের পেছনে ছোটাছুটি বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আগে দেখেন কান আছে কিনা।
নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমাদের কোনো নির্দেশনা রয়েছে কী? কিংবা কোনো নিষেধাজ্ঞা কী আসতে পারে-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিমারা নয়, আমাদের দেশের কিছু সংবাদপত্র, কিছু সুধীজন যারা কখনও মাঠে ময়দানে যান না শুধু টকশোতে যান তারাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।