যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে চলবে এক জোড়া ট্রেন।
একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলরত যেসব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) ছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে প্রতিদিন চলাচল করবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
রেলওয়ের তথ্য মতে, ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ সিলেট-চাঁদপুর-সিলেট রুটে ঈদের আগে ৪ দিন (১৮ এপ্রিল থেকে) এবং ঈদের পরের দিন থেকে ৫ দিন (২৭ এপ্রিল পর্যন্ত) চলাচল করবে। এছাড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলোর মধ্যে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ৩ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম; চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ২ ও ৪ চাঁদপুর-চট্টগ্রাম-চাঁদপুর; দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা; ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম চলাচল করবে
শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১১ ও ১২ ভৈরব বাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব বাজার; শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ১৩ ও ১৪ ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শুধুমাত্র ঈদের দিন চলাচল করবে।
ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ বী.মু.সি.ই (পঞ্চগড়)-জয়দেবপুর-বী.মু.সি.ই; ঈদ স্পেশাল ১৫ ও ১৬ ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা রুটে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল এবং ২৪-২৫ এপ্রিল চলাচল করবে।
এ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঈদের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৫৩টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি এমজি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ ৪টি এমজি ও ৯টি বিজি মোট ১৩টি) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ২১৮টি (পূর্বাঞ্চল ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চল হতে ১০২টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।