অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা মাঠে নামছে আজ। বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইয়ে আজ যারা জিতবে, উজ্জ্বল থাকবে তাদের সেমিফাইনাল আশা। যারা হারবে, অনেকটাই মিলিয়ে যাবে তাদের সেমির স্বপ্ন, যেমনটা বিবর্ণ হয়ে গেছে বাংলাদেশের স্বপ্ন।
আগের ৪ ম্যাচে দুই দলেরই জয় একটি করে, হার সমান ৩টি করে। মানে দুই দলেরই পয়েন্ট সমান দুই করে। রানরেটে এগিয়ে থাকায় শ্রীলঙ্কা পয়েন্ট তালিকার ৮ নম্বরে, ইংল্যান্ড ৯-এ। এ অবস্থায় জয় ছাড়া সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার বিকল্প কোনো পথ নেই। স্বাভাবিকভাবেই দুই দলই মাঠে নামবে মরিয়া হয়ে।
ইংল্যান্ড ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই অবিশ্বাস্য ফর্মে ছিল ইংল্যান্ড। দলে সব মারকাটারি ব্যাটসম্যান। বোলিং লাইনআপও দুর্দান্ত। ফলে প্রাক-বিশ্বকাপ আলোচনা-গবেষণায় ইংল্যান্ড ছিল টপ ফেবারিট। ৪ ম্যাচের তিনটিতে হেরে সেই ইংল্যান্ডের কি না এখন লেজেগোবরে অবস্থা। ১৯৯৬-এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার অবস্থাও তাই। তবে প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া শ্রীলঙ্কা ঘুরে দাঁড়িয়েছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে জিতে।
ডাচদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের সেই জয়টাও অবশ্য তেমন দাপটের সঙ্গে নয়, তবে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে জয়ের ধারায় ফেরাটা অবশ্যই স্বস্তির। লঙ্কানরা ফিরে পেয়েছে আত্মবিশ্বাসও। লঙ্কানরা আশাবাদী হতে পারে আরো একটা তথ্যে। বিশ্বকাপে সর্বশেষ ৪ সাক্ষাতে ৪ বারই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৭, ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯-সর্বশেষ ৪ বিশ্বকাপেই মুখোমুখি সাক্ষাতে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। যদিও বিশ্বকাপের ওভারঅল পরিসংখ্যানে এগিয়ে ইংল্যান্ড।
দুই দলের মোট ১১ সাক্ষাতে ৬টিতে জয়ী ইংল্যান্ড, লঙ্কানরা জিতেছে ৫টিতে। প্রথম ৫ সাক্ষাতেই জয়ী ইংল্যান্ড লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বশেষ জিতেছিল ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। ওয়ানডেতে দুই দলের ওভারঅল পরিসংখ্যানেও এগিয়ে ইংল্যান্ড। মোট ৭৮ সাক্ষাতের মধ্যে ইংলিশরা জিতেছে ৩৮টিতে, লঙ্কানদের জয় ৩৬ ম্যাচে। একটি টাই হয়েছে, ৩টি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
এসব পরিসংখ্যান থেকে একটা ধারণা পাওয়া মাত্র। জয়ের কোনো গ্যারান্টি দেওয়ার সামর্থ্য পরিসংখ্যানের নেই। তাই যদি থাকত, তাহলে ইংল্যান্ডের মতো দলকে আফগানিস্তান হারিয়ে দিতে পারত না। পুঁচকে নেদারল্যান্ড ধরিয়ে দিতে পারত না দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে। জিততে হলে মাঠের লড়াইয়েই জিততে হবে। ইংলিশরা মনে করেছিল অল-রাউন্ডার বেন স্টোকস চোট থেকে ফিরলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। কিন্তু তা হয়নি। চোটের কারণে প্রথম তিন ম্যাচে খেলতে না পারা বেন স্টোকস গত ২১ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন। সেই ম্যাচে ইংলিশরা হেরেছেন ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে! আজ কী হবে?
সিলেট ভয়েস/এএইচএম