‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণার পর নিজ এলাকায় সমশের মুবিন চৌধুরী

সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এই দুই উপজেলায় সমশের মুবিন চৌধুরী-কে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছিলো স্থানীয় বিএনপি। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি তাঁর কুশপুত্তলিকাও দাহ করেছিলো স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

তবে রবিবার (২২ অক্টোবর) নিজ এলাকায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে আসেন তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপারসন সমশের মুবিন চৌধুরী। এদিন রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণে শ্রীচৈতন্য মন্দিরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় পূর্ণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কোন ভেদাভেদ নেই। বাংলাদেশ হলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এদেশে সকলের মত প্রকাশের সমান অধিকার রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্বক আহত হয়েছি। জীবন বাজি রেখে এদেশ স্বাধীন করেছি।

এসময় মণ্ডপে পরিদর্শনে গেলে তাকে অভ্যর্থনা জানান শ্রীচৈতন্য মন্দিরে পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি বিষু ভূষন দেব, বিদ্যুৎ ভূষন দেব, যুগ্ম সম্পাদক উজ্জল দেব মিটু, সাধারণ সম্পাদক বিষলো ভট্টাচার্য বাবলু, সহ সাধারণ সম্পাদক গোপাল বর্ধন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিএনপির সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক এম এ হান্নান, গোলাপগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক সানাউল হক।

এরপর তিনি উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের খমিয়া পাতন সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ ও বিয়ানীবাজারের কয়েকটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সমশের মবিন চৌধুরী সিলেট-৬ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী এবং স্থানীয় বিএনপিকে নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিএনপি কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। যে কারণে গোলাপগঞ্জ- বিয়ানীবাজারের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘তৃণমূল বিএনপি’র চেয়ারপারসন সমশের মুবিন চৌধুরীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।