জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় সাত হাজার ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন চার হাজার ৩৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন দুই হাজার ৩৮৬ কোটি ৪৮ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) একনেস সভা হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে শের-ই-বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো– নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘সীম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘Improving the reliability and safety on National Highway Corridors of Bangladesh by Introduction of Inteligent Transport System (ITS)’ প্রকল্প এবং ‘ঘোনাপাড়া হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সমাধিসৌধ (শেখ লুৎফর রহমান সেতু অ্যাপ্রোচসহ) সড়কাংশ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বগুড়ায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বাবিবা) ‘ফ্লাইং স্কুল’কে ‘কেন্দ্রীয় বৈমানিক মান সনদ ও ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রূপান্তর’ প্রকল্প; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙন রোধকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্প; শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ প্রকল্প।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, যে প্রকল্পগুলো আমরা হাতে নিচ্ছি, প্রত্যেকটা প্রকল্প গ্রহণের আগে আমাদের কাছে অনেক ধরনের প্রস্তাব আসে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেখানে আমাদের যেটা করতে হবে, কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে আমার দেশের মানুষের উপকার হবে, তার থেকে আমরা কিছু অর্জন করতে পারবো সেটা দেখতে হবে। অহেতুক একটা প্রকল্প নিয়ে অনেকগুলো টাকা পেলাম দেখে সেখানে ঝাঁপ দেওয়ার দরকার নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে প্রকল্প থেকে রিটার্ন আসবে, আমরা কিছু আহরণ করতে পারবো, দেশের উন্নয়নে লাগাতে পারবো, উন্নয়নের কাজে লাগবে, সে ধরনের প্রকল্পই আমরা গ্রহণ করবো।
পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন; ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা সভার কার্যক্রমে অংশ নেন।