বিএনপিসহ আন্দোলনরত দলগুলোর আহ্বনে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এক অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী দাবি করেন, এমনকি আওয়ামী লীগের বিবেকবান লোকও আজ ভোট দিতে যায়নি বলেও খবর পেয়েছি। ২ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে নিতে পারেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গরু-ছাগল দেখা গেছে, এবারের ভোটের দিন যুক্ত হয়েছে বানরও। প্রহসনের তামাশার ভোট, যেখানে নিজেরা নিজেরা ভোট করছে সেখানেও এই অবস্থা। আমরা কি কারণে ভোট বর্জন করেছি, তা প্রমাণিত। এখন যতই রিগিং করে ভোটের হার বাড়ানোর চেষ্টা করা হোক না কেন জনগণ আর তা বিশ্বাস করবে না।
তিনি বলেন, ভোটার কেন্দ্রে যায়নি। গতকাল রাতে অনেক ব্যালট বক্স পূর্ণ করা হয়েছে। রাত থেকেই অনেক ঘটনা জানতে পেরেছি। নৌকা মার্কায় সিল মেরেছে। যা প্রমাণ হয়েছে আজ সকালে অনেক ব্যালট পেপারের বইয়ে শুধু নৌকা মার্কায় সিল দেখা গেছে। তাহাজ্জুদের নামাজের সময় ভোট চুরি করেছে। নিজেরা নিজেরা ভোট করেও আবার এই ডাকাতির আশ্রয় নিতে হয়েছে। শাইনপুকুর দোহারে শিশু বাচ্চাদেরও ভোট দিতে দেখা গেছে। এ এক অভিনব কায়দা। সরকারের কোনো লজ্জাও নেই। কেন্দ্র ফাঁকা, অথচ বলে বেরাচ্ছে ৫০ শতাংশ ভোট পড়বে। এই ভোট কোথা থেকে আসবে। ভোটের হার বাড়িয়ে দেখানোর সব আয়োজন চলছে। জনগণ এত বোকা নয়। হুমকি-ধামকি দিয়ে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সত্যকে আড়াল করা যাবে না। জনগণ সরকারের ধোকাবাজির চরিত্রটা দেখছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যেহেতু ভোট বর্জন করেছি, সেজন্য ভোট নিয়ে কথা বলার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করছি না। কিন্তু নিজেরা নিজেরাই ভোট করার পরেও যে ভোট ডাকাতির করা হয় তা জানানোর জন্য বলছি। ভোট বর্জন যে যৌক্তিক তা প্রমাণ করে দিয়েছে। একটা ভোটকে নিয়ে যে কি ধরনের ছিনিমিনি খেলতে পারেন তা বলা জন্য এই সংবাদ সম্মেলন।
রিজভী আরও বলেন, নির্বাচন ও গণতন্ত্র এসব বিশ্বাস করে না আওয়ামী লীগ। যার প্রতিফলন এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ঘটেছে। তারা কারচুপি করবে বলে অনেক জনপ্রিয় অনলাইন, পত্রিকার অনলাইন ভার্সন বন্ধ টার্গেট করে করেছে। কারণ তারা যা ঘটবে তা লিখবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার বলে দিলেন ৫০ শতাংশ ভোট হতে পারে। আবার আরেকজন বললেন, তিনি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সেখানে নৌকার এজেন্ট ছাড়া কাউকে দেখেনি। যদি পরিস্থিতি এই হয় তাহলে কোথা থেকে আসবে ভোট। আমরা যে বিজয়ী, জনগণকে যে আহ্বান জানিয়েছিলাম ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। আমাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার কারণে জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।