১২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা দখলের লক্ষ্যমাত্রা ইসরায়েলের

ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করা এবং এটির উপর নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা, এমনটাই জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফের আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল রিচার্ড হেকট রোববার (৮ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা দখলের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন তারা।

শনিবার ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস অতর্কিত হামলা চালিয়ে শত শত ইসরায়েলিকে হত্যার পর এমন হুমকি দিয়েছে তেল আবিব।

এ ব্যাপারে এ সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখন ভাবছি সেটি হলো গাজার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা। আগামী ১২ ঘণ্টায় আমাদের লক্ষ্য হলো: গাজার পতন ঘটানো, পুরো গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া এবং আমাদের অঞ্চলে থাকা সব সন্ত্রাসীকে হত্যা করা।’

আরও পড়ুন : ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ

তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা খুব সম্ভবত গাজার কিছু কমিউনিটিকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করব। আর সময় গড়ানোর সঙ্গে গাজার কিছু নির্দিষ্ট এলাকা থেকে মানুষদের উচ্ছেদ করব।’

এদিকে ২০০৫ সালে গাজা উপত্যকা থেকে নিজেদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ইসরায়েল। ২০০৩ সালে ইসরায়েল অবৈধ বসতিস্থাপনকারীসহ সবাইকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২০০৭ সালে ফিলিস্তিন অথিরিটির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হামাস।

হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ দখল করার পরই সেখানে অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। সেই অবরোধের পর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে অবরুদ্ধ হয়েই আছেন গাজার বাসিন্দারা। আর অবরুদ্ধ থাকার কারণে সেখানকার চারভাগের তিনভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন।

যদি ইসরায়েল আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় তাহলে সেখানে বড় ধরনের স্থল অভিযান চালাতে হবে তাদের। আর বর্তমানে ইসরায়েল যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে গাজায় বিমান হামলা ছাড়াও সরাসরি সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।