কয়েক দিন ধরেই দেশে তাপমাত্রা কমতে থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় অনেকেই শীতের কাপড় পরে বের হচ্ছেন। ভোরে কুয়াশা না থাকলেও বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। শনিবার (২২ অক্টোরব) ভোর ৬টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, শীত পড়তে শুরু করেছে। শনিবার ভোর ৬ টায় তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ অক্টোবর ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ অক্টোবর ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ অক্টোবর ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ অক্টোবর ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ অক্টোবর ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১৫ অক্টোবর ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে পঞ্চগড়ে আগেভাগেই শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে থাকে প্রচণ্ড ঠান্ডা।
এদিকে সারাদেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। আন্দামান সাগরের ওপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তই শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর সেই নিম্নচাপই বঙ্গোপসাগরের ওপরে পৌঁছে শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার।
সোমবারই (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে পরিণত হতে পারে এই নিম্নচাপ। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) তা আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ঠিক কোনদিকে হবে, তা এখনও জানা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাতে আছড়ে পড়তে পারে সিত্রাং। যেহেতু অন্ধ্র উপকূল ধরে ঘূর্ণিঝড়টি ধেয়ে আসছে, তাই বাংলাদেশের ওপরেও আছড়ে পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশসহ একাধিক রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।