সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জে ফের চুরির ঘটনা ঘটেছে। কৃষকের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে গাভী ও বাচ্চাসহ মোট ৩টি গরু নিয়ে গেছে চোরেরা। শুক্রবার (০১ নভেম্বর) দিবাগত রাতের কোনো একসময় মোল্লাগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল জলিল জলুর বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
আব্দুল জলিল বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমি এক বিচার বৈঠকে ছিলাম। সেখান থেকে রাত ২টার দিকে ঘরে ফিরি। ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরু ঘর ভালোভাবে দেখেছি। সব ঠিক ছিল। সকাল ৮টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি গরুর ঘরের দরজা খোলা। কাছে গিয়ে দেখি তালা ভাঙা, ভিতরে গরু নেই। তখনই বুঝতে পারি যে গুরুগুলো চুরি হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবগত করেছি। উনাকে সাথে নিয়ে সম্ভাব্য সবস্থানে খোঁজ করেছি। যেসব হাঁট-বাজারে গরু কেনা-বেচা হয় সেসব এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের অবগত করেছি। প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যমানের গরুগুলো হারিয়ে চোখে আন্ধকার দেখছেন আব্দুল জলিল। তবে, এ ঘটনায় তিনি সাধারণ ডায়েরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।’
চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান দুলাল জানান, ‘এর আগেও গ্রামে একরাতে চারটি চুরি সংঘটিত হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ঘর চুরি যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি/ অভিযোগ করেন। সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এরইমধ্যে মাত্র একদিনের ব্যবধানে গ্রামে আবারো চুরির ঘটনা ঘটেছে। আব্দুল জলিলের গোয়াল ঘর থেকে ৩টি গরু চুরি হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘এলাকায় ঘন ঘন চুরি হওয়ায় আমরা ওয়ার্ডবাসী রীতিমত আতঙ্কের মধ্যে আছি। আগে থানা পুলিশ টহল দিতো। গ্রামের প্রত্যেকটি রাস্তা দিয়ে টহলের গাড়ি ঢুকতো। তখন এলাকায় চুরি-চামারি কম ছিল। গত ৫ আগস্টের পর থেকে সেটা নেই। চুরিসহ সব রকম অপরাধ দমনে এলাকায় আবারো পুলিশী টহল জোরদার করতে হবে। আগের মতো গ্রামের প্রত্যেকটি রাস্তা দিয়ে ঢুকতে হবে। তবেই এলাকা অপরাধমুক্ত হবে।’