হবিগঞ্জের বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের সীমানা থেকে উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির সোনালী ঈগল পাখিটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে স্কুলের অধ্যক্ষ সৈয়দা রওশন সুলতানা ও বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বন বিভাগের কর্মীদের কাছে এটি হস্তান্তর করেন।
এর আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল অবহিত হয়ে বনবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের অধ্যক্ষ সৈয়দা রওশন সুলতানা জানান, স্কুলের শিক্ষক আব্দুস সালাম আহত অবস্থায় পাখিটি পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করেন। পরে সেটিকে সেবা পরিচর্যা করা হয়। বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে পেরে তারা আনন্দিত।
বন কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান, ঈগল পাখিটির আনুমানিক বয়স ১ বছর। প্রাথমিক পর্যায়ে এটিকে সুস্থ মনে হচ্ছে। তারপরও আমরা ২ দিন পর্যবেক্ষণে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করব।
বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল বলেন, সোনালী ঈগল একটি বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির পাখি। শিকারি পাখি হিসেবে এর খ্যাতি রয়েছে। আবাস ও খাদ্য সংকটের কারণে এই প্রজাতির পাখি হারিয়ে যেতে বসেছে। তিনি যুক্ত করেন, পৃথিবীর সকল প্রাণী একে অন্যের প্রতি নির্ভরশীল। এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতা পৃথিবীকে করেছে সুন্দর ও বাসযোগ্য। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় পাখির ভূমিকা অনন্য। পাখিগুলো সংরক্ষণ ও টিকিয়ে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
বন বিভাগের পক্ষ থেকে পাখিটি গ্রহণ করেন বনকর্মী মো. জিয়াউল হক রাজু ও মনোরঞ্জন অধিকারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের শিক্ষক বাবলি চৌধুরী, কাকলি দত্ত প্রমুখ।