হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম ও হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমরান হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. হাসানুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে এ দুই নেতাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার লাখাই থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৩ জন নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চেয়েছিলেন। এ সময় হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জিকে গউছসহ ৪১ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেন এবং এমরান হোসেন ও অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন বিচারক।
সিলেটে বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় বামৈ বাজারে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে বিএনপি। সাবেক মেয়র জিকে গউছসহ নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সভাস্থলে এসে বাঁধা দিলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে জিকে গউছসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সেদিন কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছিলেন।
ঘটনার পরদিন লাখাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বী বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে এই মামলাটি দায়ের করেন। এতে জিকে গউছসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।
এ মামলায় গত ২২ নভেম্বর ৪১ নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে হাজির হন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলা করে। এরপর জামিনযোগ্য অভিযোগ হওয়া সত্ত্বেও সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে তাদের জামিন নামঞ্জুর করিয়েছে।