আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাতে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গুলি নিক্ষেপ এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ৪০ জন আহত হন।
তাদের মধ্যে রুবেল মিয়া (৩০), মোতালিব মিয়া (৩২) ও নাসির মিয়াকে (৩০) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই উপজেলার নয়া পাথারিয়া গ্রামটি হবিগঞ্জ শহরতলীতে। বানিয়াচং থানা থেকে গ্রামটি অনেক দূরে হওয়ায় আসামিদের ধরা সম্ভব হচ্ছে না। আশিক মিয়া ও তার ছেলে ডিপজল দুর্ধর্ষ বলে জেনেছি কিন্তু পুলিশ যাওয়ার খবর পেলেই তারা পালিয়ে যায়। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের বাসিন্দা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি কারাবন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের হাসন আলীর ছেলে সুরুজ আলীর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে রোববার রাতে তাদের উভয়ের পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আহাদ মিয়ার ভাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আশিক মিয়া ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা ডিপজল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছুড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।