হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হকৃবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী (পঞ্চাশতম বার্ষিকী) যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক তুলে দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর ১২ টায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে এ উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ওশানোগ্রাফি ও ব্লু ইকোনমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অরুণ চন্দ্র বর্মন, ক্রপ বোটানী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আবুবকর সিদ্দীক, জলজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের প্রভাষক ইফতেখার আহমেদ ফাগুন, উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক ড. জাকারিয়া চৌধুরী অনিক, এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. সালাউদ্দীন ইউছুপ, ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. রহিমা আক্তার দীপা, মৎস্যচাষ বিভাগের প্রভাষক ফারজানা খানম চাঁদনী, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক মোহসীনা মোস্তারী লিজা, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হাবিবুল্লাহ সিদ্দিকী, অ্যানিম্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রভাষক ডা. শিরিনা আক্তার তমা, অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগের প্রভাষক ডা. জাকিয়া সুলতানা কলি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সাদেকুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি অনুষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত বলেন, “সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে ও বিশ্বব্যপী শান্তির অগ্রদূত হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান করা হয়। বিশ্বশান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছিল সবসময়। তাঁর সেই প্রচেষ্টাকে আজ থেকে ৫০ বছর আগে স্বীকৃতি দেয় বিশ্ব। বঙ্গবন্ধুর বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার সেই প্রচেষ্টা ও তাঁর আন্তর্জাতিক পদকপ্রাপ্তির ঘটনা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। সেই অনুপ্রেরণায় কৃষিতে অবদান রেখে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আমরাও বিশ্বশান্তি নিশ্চিতে ভূমিকা রাখতে চাই”।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির স্বপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শান্তি পরিষদের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়ান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কনফারেন্সের বিশ্ব শান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বিশাল সমাবেশে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদান করেন।