সিকৃবি ও হকৃবিতে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আজ (শুক্রবার) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।

সিকৃবিতে এবছর ৪২১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১৬৫ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সিকৃবি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৫১.৪৩ শতাংশ।

হকৃবির হবিগঞ্জ সদরের ভাদৈ এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মোট ১০৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫১৯ জন। উপস্থিতির শতকরা হার ৪৯.৩৮।

সিকৃবিতে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে উপাচার্য।সিকৃবিতে পরীক্ষা শুরুর পর বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন সিকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। পরীক্ষা শেষে তিনি ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

হকৃবিতে সকাল সোয়া ১১ টায় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কৃষি গুচ্ছের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় ৪৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়া সকলের সহযোগিতায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আমরা সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি’।

হকৃবিতে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে উপাচার্যউল্লেখ্য এবছর ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৩ হাজার ৭১৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার ১১৬ জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫ জন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৯৮ জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৮ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭০ জন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ জন, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ জন এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।