প্রথমবারের মতো সিলেট ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে নির্মিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদস্মৃতি উদ্যানে’ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে এসে শহীদদের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি এই বধ্যভূমিতে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন তাদেরকে গেজেটভূক্তির মাধ্যমে স্বীকৃতি প্রদানেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।
শহীদ বাছির মিয়ার মেয়ে তাহমিনা খাতুন তান্নি বলেন, ‘৫২ বছর পর স্বাধীনতা দিবসে পিতার স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে পেরে আমাদের পরিবারের সদস্যরা আপ্লুত। আমরা স্বীকৃতি চাই। যারা শহীদ হয়েছেন গেজেটভূক্তির মাধ্যমে তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়া হোক। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের কাছে এটাই আমাদের চাওয়া।’ একই দাবি জানান, শহীদ সন্তান সোনারুন্নেছা।
মহান স্বাধীনতা দিবসে ২৬ মার্চ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার বেদীমূলে আত্মোৎসর্গকারী মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সমবেত হন সিলেট ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদস্মৃতি উদ্যানে।’
মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অরাজননৈতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন স্কুল, কলেজসহ সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল থেকে একে একে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান বাস্তবায়ন কমিটি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট, একডো, সিলেট, নগরনাট, শহীদ সুফি স্মৃতি পরিষদ, শহীদ বাছির মিয়ার পরিবার, সিলেট মিডিয়া, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, নৃত্যশৈলী, আকবেট, বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেটস এসোসিয়েশন সিলেট, স্টেমেজ স্কুল হাউজিং এস্টেট সিলেট, প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা, সিলেট ক্লাব লিমিটেড, পানসী পরিবার, সম্মিলিত নাট্যপরিষদ, জিন্দাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট সিলেট, শহীদ ডা. দীগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ পরিবার, উষা সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়, গণজাগরণ মঞ্চ, মেঠোসুর, বিমানবন্দর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট।
এছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শাবির সাবেক রেজিষ্ট্রার জামিল আহমেদ চৌধুরী, স্থপতি তুগলুক আজাদ, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্ট, সিলেট এর চেয়ারম্যান ডা. শাহজামান চৌধুরী বাহার, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মুক্তিযোদ্ধা ডা. মৃগেন কুমার দাস চৌধুরী, প্রবীন আইনজীবী প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির মিহিরকান্তি চৌধুরী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম শাহীন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, বাপার সহ সভাপতি ড. নাজিয়া চৌধুরী ও ডা. তারেক আজাদ, তথ্য চিত্র নির্মাতা নিরঞ্জন দে যাদু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের পরিচালক অনুপ কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতিকর্মী সৈয়দা নাসিমা কুইন, কিডনী ফাউন্ডেশন সিলেটের ফরিদা নাসরিন, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কীম এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য অপূর্ব শর্মা প্রমুখ।