স্কলার্সহোম মেজরটিলায় মাতৃভাষা দিবস পালন

স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক বলেছেন, ১৯৫২ সালে জাতি হিসেবে বাঙালি পৃথিবীর বুকে নিজস্ব বিদ্রোহী স্বতন্ত্র সত্ত্বার জয়গান ঘোষণা করে। সেদিন ঢাকার রাজপথে রক্ত দিয়ে যে ইতিহাস লেখা হয়, এর ফলে বাঙালি শুধু ভাষার অধিকার পায়নি, পেয়েছে জাতিসত্তার স্বীকৃতি। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবাদী বাঙালি একাত্তরে আদায় করে নিয়েছিলো স্বাধীনতার লাল সূর্য।

তিনি আরো বলেন, ‘একাত্তরের প্রেরণা ছিলো একুশ, একুশে ফেব্রুয়ারিই একতাবদ্ধ বাঙালির প্রথম প্রতিবাদী স্ফূরণ, সোনার বাংলা বিনির্মান ও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা।’

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজের উদ্যোগে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

এসময় তিনি সকল ভাষা সৈনিক ও ভাষা শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস জানা ও ইতিহাস সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে ভোরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদদের স্মরণে কলেজের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সকাল ৯ টায় কলেজের ইনডোর অডিটোরিয়ামে বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় আবৃত্তি ও আলোচনা সভা শুরু হয়। এসময় সূচনা বক্তব্য রাখেন কলেজ শাখার ইনচার্জ প্রভাষক রাজন সরকার।

২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন নবম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আল রিফাত, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী স্পৃহা দত্ত। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিজাম উদ্দিন।

পরে ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত চিত্রাংন, কবিতা আবৃত্তি, রচনা প্রতিযোগিতা ও বক্তৃতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক সহ অন্যান্যরা। এসময় উপাধ্যক্ষ নাহিদা খান, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিশেষে ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মোক্তার আহমেদের পরিচালনায় বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষে হয়।