সোনার বাংলা অর্জনের জন্য সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আত্মনিয়োগ করতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোববার (২১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে শনিবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ঘাসফুল শিশু-কিশোর সংগঠনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সোনার বাংলা অর্জনের দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু আমাদের এবং আমাদের নতুন প্রজন্মকে দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের সোনার বাংলা অর্জিত হবে না, ততদিন আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। এই পথ সহজ নয়, কিন্তু আমরা চাইলে অবশ্যই বিজয় লাভ করব— কারণ আমরা বিজয়ী জাতি।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের একটি রোডম্যাপ দিয়েছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা সোনার বাংলা— অর্থাৎ একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, অর্থনীতি গড়ে তুলব, যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশসম ব্যবধান থাকবে না, যেখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য নিশ্চিত হবে।
ড. মোমেন নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন অর্জনের জন্য যা যা করার তিনি তা করে যাচ্ছেন এবং গত ১২ বছরে আমাদের অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে সর্বক্ষেত্রে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে, নতুন প্রজন্মের হৃদয়ে, আত্মপ্রত্যয় সৃষ্টি করেছেন যে— আমরা পারি এবং তিনি তার নমুনা আমাদের দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় তৈরি করে তিনি দেখিয়েছেন, যা কেউ কল্পনা করেনি।
ড. মোমেন নতুন প্রজন্মকে বড় বড় স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা দিয়ে বলেন, তোমাদের স্বপ্ন যদি বড় হয়, তোমাদের অর্জনও বড় হবে। আর তা অর্জনের লক্ষ্যে সময়ের সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিশ্রম করে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের এবং সহযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের কথা নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে তুলে ধরেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ম ওয়ার কোর্সের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) এম আব্দুর রউফ, বীরবিক্রম এবং মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান, বীরবিক্রম।
ঘাসফুল শিশু-কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসান আব্দুল্লাহ বিপ্লবের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির শিশু-কিশোরদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সংগঠনটির শিশু-কিশোরদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।