সুনামগঞ্জে নদী থেকে অবৈধভাবে লুট হচ্ছে ইজারাবিহীন বালু-পাথর

সুনামগঞ্জে পুলিশের সামনেই নদী থেকে লুট হচ্ছে ইজারাবিহীন বালু-পাথর। দিনে দুপুরে অবাধে শত শত নৌকা নিয়ে  বালু ও পাথর আহরণ করছে স্থানীয় একটি চক্র। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সাহেববাড়ি ঘাট এলাকায় ধোপাজান নদীর একপারে নোঙ্গর করা একটি স্টিলের নৌকায় পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা বসে আছেন। কিন্তু নদীর অপরপ্রান্তের সদরগড় ঘাটে বেধে রাখা বড় বড় বাল্কহেড গুলো অবৈধভাবে বালু ও পাথর বোঝাই করছে।

একইসাথে পুলিশ প্রশাসনের সামন থেকে ওই নদী থেকে বালু-পাথর লুট করে প্রতিদিন সরকারের কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হাতিয়ে  নিচ্ছে চক্রটি। এমনকি ইজারাবিহীন এই নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন করায় নদীর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম।

সদরগড় এলাকার বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, ‘প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে ইজারাবিহীন এই নদী থেকে বালু পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী একটি চক্র অথচ প্রশাসনের কোনোও নজরদারি নেই।’

অক্ষয়নগর এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘আগে ভাবতাম মনে হয় আওয়ামী লীগের সরকারের লোকজন প্রভাব কাটিয়ে এই নদী থেকে বালু পাথর উত্তোলন করছে সে জন্য পুলিশ কিছু বলছে না। এখন কারা ইজারাবিহীন এই নদী লুট করছে। আশা করি পুলিশ কিংবা জেলা প্রশাসন এই দিকে নজর দিবে।’

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ জানান,আমরা নদী গুলোতে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করার চেষ্টা করছি। তবে কোনোও পুলিশ সদস্য এই কাজের সাথে জড়িত থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার এম এন মোর্শেদ বলেন, ‘ইজারাবিহীন নদী থেকে কেউ বালু কিংবা পাথর উত্তোলন করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘ধোপাজান ইজারাবিহীন নদীতে বালু আহরণ নিষিদ্ধ। কেউ অবৈধ ভাবে বালু পাথর আহরণ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’