- দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন ৪ জন
- আলোচনায় মান্নান ও ডন
দুয়ারে কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গেল বুধবার ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যখন তফশিল প্রত্যাহার ও সরকার পতনের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তখন সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে দৌড়ঝাঁপ করছেন এই আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিআইপি আসন খ্যাত এই সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি হতে ইতিমধ্যে ৪ জন নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী নেতারা হলেন, এ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে টানা তিনবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান, প্রয়াত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের পুত্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন। আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে পৃথক সময়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তারা।
এদিকে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের পর সুনামগঞ্জ-৩ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি; তা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আরও পড়ুন > এবার দুই দিনের অবরোধের ডাক দিলো বিএনপি
স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে ৪ জন মনোনয়ন ফরম কিনলেও দলীয় বিবেচনায় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান ও সামাদপুত্র আজিজুস সামাদ আজাদ ডন। নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তিনবার বিজয়ী সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নানেই আস্থা রাখবে আওয়ামী লীগ নাকি চমক হিসেবে নতুন প্রার্থী দেবে সেটা জানতেই সুনামগঞ্জ-৩ আসনের নেতাকর্মী থেকে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি এখন ঢাকার দিকে। কারণ, শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েকদিনের মধ্যেই সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর।