চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ট্র্র্যাজেডির রেশ না কাটতেই দেশের আরও কয়েকটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত রবিবার রাজশাহী থেকে খুলনাগামী একটি ট্রেনে আগুন লাগে। এর আগে গত শনিবার সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে আগুন লেগেছে একাধিক কারখানা ও ফেরীতেও। এসব অগ্নিকাণ্ড স্রেফ দুর্ঘটনা না-কি নাশকতা তা নিয়ে গত কয়েক দিন নানা মহলে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা রয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উঠে আসে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো নিছক অগ্নিকাণ্ড নাকি পরিকল্পিত নাশকতা তা তদন্তের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে উপস্থিত উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আগে-পরে যাতে কোনো মহল বিশৃঙ্খলা বা অন্তর্গাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারেন সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল সংস্থার সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দিনে দেশের ভেতরে যে কোনো ইস্যুতে যাতে কোনো মহল অপচেষ্টা চালাতে না সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশে-বিদেশে বসে তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। পদ্মা সেতুসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্প সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন হোক এটা তারা চায় না। আগামীতে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে তারা নতুন ছক সাজাতে পারে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
বৈঠকে আলোচনা হয়, সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে কেন একসঙ্গে একই সময় একাধিক জায়গায় থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল তা রহস্যজনক। এছাড়া প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনে আগুন লাগার কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এসব ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।