সিলেটের ওসমানী নগর থানা পুলিশের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখা জানায়, বুধবার (০২ আগস্ট) বিকালে হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে স্থানীয় সায়েস্তা মিয়ার পুত্র মতিউর রহমানের সাথে বিদ্যালয়ের সীমানা নিয়ে বাক বিতন্ডা হয়। এসময় মতিউর রহমান তার পক্ষের লোকজন নিয়ে মারমূখী আচরণ করলে বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি ও পঞ্চায়েত কমিটির লোকজনসহ মো: মতিউর রহমানের উশৃংখল আচরণের প্রতিবাদ করে। এই সময়ে মতিউর রহমান তার বসতঘর থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এক রাউন্ড গুলি করে।
খবর পেয়ে থানা বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পুলিশ গিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। অভিযানে মতিউর রহমানের বাসার বাসে ঝোপের মধ্য থেকে একটি পাইপগান ও গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ৩টি রামদা, ১ টি লোহার পাইপ ১ টি চাপাতিউদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, পুলিশ আসার খবর পেয়ে মতিউর রহমান পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এর আগেও ওসমানী নগর থানায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ওসমানীনগর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে হামতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুর রহমান শিবলু লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, মতিউর রহমান গংরা দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়ের সীমানার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যালয়ের সীমানার বেড়া উঠিয়ে সেখানে ময়লার ট্যাঙ্ক স্থাপন করে। এ বিষয় নিয়ে কথা বলায় মতিউর রহমান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যে বানোয়াট অভিযোগ করে। জায়গা দখলের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হলে আগামী ৭ আগস্ট উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধান করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সে বুধবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে হুমকি দিয়ে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিদ্যালয়ের সামনে চলে আসে। এসময় শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এর প্রতিবাদ করলে মতিউর ও তার সঙ্গীরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন আহত করে।
সংবাদ সম্মেলনে উশৃঙ্খল মতিউর ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে হামতনপুর গ্রামের অজিত সূত্রধর, আবদুল হামিদ, আনর আলী, হারুন মিয়া, মিলন মিয়া, হেমেন্দ্র সূত্রধর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।