সিলেটের উন্নয়নে সহযোগীতা চাইলেন আনোয়ারুজ্জামান

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সিলেটে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সোমবার(১৭ এপ্রিল) বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে বেসরকারী বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

বিমান বন্দরে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে রিসিভ করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিশাল সংবর্ধনা দেয়া হয়। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

পরে আনন্দ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরান (র.) মাজার জিয়ারত করেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

পরে এক প্রতিক্রিয়ায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর নির্দেশে আমি সিলেটের অলিতেগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। এজন্য প্রথমে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রিয় নগরবাসীর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।’

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা আগে তাকে সিগন্যাল দিয়ে রেখেছিলেন এবং কাজ করতে বলেছিলেন। আমি সেই লক্ষ্যেই মাঠে ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে ভবিষ্যতে সুখে-দুঃখে নগরবাসীর পাশে থাকব। আশা করি এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বিজয় উপহার দেয়ার লক্ষ্যে নেতাকর্মীসহ সবাই নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করবেন।’

তিনি বলেন, ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিলেট মহানগরের সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম স্মার্ট নগরী সিলেটকে ঘোষণা করতে চাই’। এজন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে সিলেটের উন্নয়নের স্বার্থে সিলেট নগরবানীর সহযোগীতা চান।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।

বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট প্রদীপ ভট্টাচার্য, জগদীশ চন্দ্র দাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, সুজাত আলী রফিক, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, এডভোকেট শাহ মোশাইদ আলী, নাজনিন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, এডভোকেট রঞ্জিত সরকার, এডভোকেট ছালেহ আহমদ সেলিম, ডা. আরমান আহমদ শিপলু। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছা সেবক- লীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ, সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট মোস্তাক আহমদ।

জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তপন মিত্র, মোবাশ্বীর আলী, এডভোকেট ছালেহ আহমদ হীরা, জগলু চৌধুরী, এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, শামসুননাহার মিনু, বুরহান উদ্দিন, ডা. শাকির আহমদ শাহিন, মতিউর রহমান মতি। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিয়া, রওশন জেবিন রুবা, আতিকুর রহমান সুহেদ, তাহমিন আহমদ, শাহজান আহমদ।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগেরর সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক হেলেন আহমদ, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি শাহানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান।

সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীম আহমদ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেবনাথ, মহানগরের সভাপতি নোমান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসানাত বুলবুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশোয়ার জাহান সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদসহ, বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

উল্লেখ্য, শনিবার (১৫ এপ্রিল) গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নাম প্রকাশ করা হয়।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ১৬ এপ্রিল সকালে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে গিয়ে দেখা করেন এবং তার দোয়া নেন। ওইদিনই তিনি জাতির পিতার সমাধিস্থল টুঙ্গিপাড়ায় যান সেখানে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন।