সিলেটে ১৪ ট্রাক চোরাই চিনি জব্দ করার ঘটনায় মামলা

সিলেটে অবৈধপথে আসা চিনিবোঝাই ১৪টি ট্রাক জব্দের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ জুন) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ্ উদ্দিন বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তবে মামলায় আসামীর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করাও হয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ছয়টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার উমাইরগাঁও এলাকার ভাদেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা চিনিবোঝাই ১৪টি ট্রাক জব্দ করা হয়। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান চোরাকারবারীরা।

পুলিশ জানায়, জব্দ করা ১৪টি ট্রাকে ২ হাজার ১১৪ বস্তা ভারতীয় চিনি ছিল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৬৯ লাখ ১২ হাজার টাকা।

এদিকে, এ ঘটনার পর শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৪ ট্রাক চিনি চোরাচালানের সঙ্গে সিলেট মহানগর যুবলীগের এক নেতা জড়িত রয়েছেন। চিনির চালানের সঙ্গে জব্দ করা প্রাইভেটকারটি ওই যুবলীগ নেতার।

সূত্র আরও জানায়, যুবলীগের ওই নেতা চিনিবোঝাই ট্রাক পরিবহনের দায়িত্বে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ফাঁড়িপথে উমাইরগাঁও এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করেন। চিনির এই চালানটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল তাদের।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ১৪টি ট্রাকে অন্তত ২৮ জন এবং মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার মিলিয়ে ৩৫ জনের মতো ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। চোরাকারবারিদের নাম ঠিকানা সনাক্তের কাজ চলছে। তদন্তের পর মামলায় আসামিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।