সিলেট বাস টার্মিনালের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন না হলে আগামী ১১ জুন থেকে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
গেল শনিবার (২৭ মে) সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় পরিবহণ মালিক সমিতির নেতারা এ ঘোষণা দেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ জুনের মধ্যে যদি বাস টার্মিনালের অসম্পূর্ণ কাজ ও ইজারাদার কর্তৃক নীতিমালা অনুসরণ করে টার্মিনাল পরিচালনা না করা হয়, তাহলে আগামী ১১ জুন থেকে সিলেট জেলার সর্বস্থরের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
উক্ত সভায় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কার্যকরী সভাপতি ও সহ-সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
একই দাবিতে রোববার (২৯ মে) সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বরাবরে স্মারকলিপি প্রেরণ করেছেন জেলা পরিবহণ মালিক-শ্রমিক নেতারা।
স্মারকলিপিতে মেয়র আরিফের উদ্দেশ্যে পরিবহণ নেতারা বলেন, ‘বিগত ১৪/০৫/২০১৩ইং সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সিলেট জেলা বাস মিনি বাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন আপনার বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ প্রদান করে। অদ্যাবদি অভিযোগগুলো নিয়ে নূন্যতম একটি কার্যক্রম ও পরিচালিত হয়নি। টার্মিনালের অভ্যন্তরে বিশেষ করে জেলা মালিক সমিতি ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের কাঠামোগত কাজ অসম্পূর্নসহ অনেক কার্যক্রম এখন সম্পূর্ন হয়নি। তাই বিগত ১৪/০৫/২০২৩ ইং তারিখের লিখিত অভিযোগসহ অদ্যকার দাবিনামা ১০/০৬/২০২৩ইং তারিখের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে আগামী ১১/০৬/২০২৩ইং তারিখ হইতে সিলেট জেলায় বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’
এতে পরিবহণ নেতৃবৃন্দ সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অসম্পূর্ন কাজ ও ইজারাদার কর্তৃক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নীতিমালা অনুসরণ করে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত করার ব্যাপারে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহনে মেয়রের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়।
স্মারকলিপি প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল কবির পলাশ।
তিনি বলেন, সিলেট কেন্দ্রীয়বাস টার্মিনাল চালু করা হলেও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জ্বলে না জেনারেটর। বাতাস দিলে ভেঙে পড়ে জানালার কাছ। রয়েছে আরও বেশ কিছু সমস্যা। এসব সমস্যা নিয়ে বারবার মেয়র বরাবরে আবেদন করা হলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না।
এ অবস্থায় ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের অসম্পূর্ন কাজ ও ইজারাদার কর্তৃক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নীতিমালা অনুসরণ করে করার দাবিতেই পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সবাই আন্দোলনে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।