সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেছেন, হিজড়া জনগোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাদের আবাসনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন। সুন্দর ও সঠিক পথে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।
হিজড়া যুব কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত “হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ক প্রকল্পের” প্রকল্প পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রত্যেক মানুষেরই ক্ষুধা নিবারণ করতে হয়। ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে তারা অনেকসময় অনেক দৃষ্টিকঠোর কাজ করে থাকে। তাদেরকে কাজের সুযোগ দিলে তারা হয়তো এমন কাজ থেকে ফিরে আসবে। তাই এ প্রকল্প যাতে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য যথাযথভাবে কাজ করে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
আলোচনায় অংশ নেন হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা। এসময় তারা বলেন, বর্তমান সরকার তাদেরকে তৃতীয়লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও আজও তারা সমাজ থেকে অবহেলিত, শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যের শিকার।
এসময় তারা প্রশাসনের কাছে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার চান।
হিজড়া যুব কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মিস সুক্তার সভাপতিত্বে এবং প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর মো. মোছাব্বের রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন, সিলেট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আব্দুর রফিক, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আমান উল্লাহ দরজী এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ সেফুল।
সভায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর লোকজন, আইণজীবিগণ, বেসরকারি সংস্থার লোকজন, গণমাধ্যমকর্মী এবং সুশীল সমাজের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।