দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেটে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘন্টার হরতাল পালিত হচ্ছে।
ভোরে সিলেট মহানগরীর বিমান বন্দর, টুকের বাজার এবং মেডিকেল রোড এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। দুপুরে নেতাকর্মীরা খাসদবির এলাকা বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে ট্রাক আটকিয়ে ভাংচুর চালায়।
দুপুরে দেড়টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা।
এদিকে সকাল থেকেই নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে যানবাহন চলাচল। আন্ত:উপজেলা সড়কে স্বল্পসংখ্যক বাস চলাচল করলেও সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন জরুরি কাজে চলাচলকারী সাধারণ মানুষেরা।
অন্যদিকে সড়ক মহাসড়কে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
হরতালের কারণে নগরীর ছোট দোকানপাট খোলা থাকলে বন্ধ রয়েছে শপিংমল ও বিপনি-বিতান। স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে স্বাভাবিক দিনের মতো খুলেছে দোকানপাট। জনজীবনও রয়েছে অনেকটা স্বাভাবিক।
এদিকে হরতাল অবরোধের নামে সিলেট মহানগরীতে অগ্নিসন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
যেকোনও ধরনের নাশকতার তথ্য মহানগর পুলিশের কন্ট্রোল রুম ও ৬ থানার ওসিদের দিয়ে সহযোগিতা করলেই মিলবে এই পুরস্কার।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে জানানো হয়- “সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় নাশকতাকারী ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিতে পারলে নগদ ২০ হাজার টাকা অর্থ পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ, বিপিএম(বার), পিপিএম। জনগণের জানমাল রক্ষা করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবসময় প্রস্তুত আছে এবং নগরবাসীর পাশে আছে। সিলেট মহানগরীকে নিরাপদ রাখাতে তথ্য দিয়ে পুলিশের পাশে থাকুন।”
এতে যেকোন ধরণের নাশকতার খবর পেলেই সাথে সাথে এসএমপির কন্ট্রোল রুমের ০১৩২০০৬৯৯৯৮ এই নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করতে বলা হয়।