জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এনডিসি বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। সেই সাথে বুঝতে হবে, জানতে হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর ৯টি অধ্যায় ৬০টি ধারা দেশের মানুষের সাইবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য প্রনয়ন করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার নিশাত আনজুমের সঞ্চালনায় অয়োজিত সেমিনারে তিনি আরো বলেন.এই আইন আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে যেমনি সচেতনতা দরকার তেমনি অপ প্রয়োগ ও অপপ্রচার রোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে এজন্য সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান অতিথি জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এনডিসি।
সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হোসাঈন মোহাম্মদ, এসএমপির কমিশনারের প্রতিনিধি সহকারি পুলিশ কমিশনার তপন সরকার, জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন, মহিলা অধিদপ্তরে উপ পরিচালক শাহিনা আক্তার, সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আফিসার সাখাওয়াত হোসেন, সিলেট জেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আবদুর রফিক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ফখরুজ্জামান, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার ডা. মাইমুন নাহার নাসরিন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্ত সাইদুর রহমান ভূইয়া, জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাস, সাইবার ট্রাইব্যুনালের এপিপি এডভোকেট বিপ্লব কান্তি দে মাধব, সিলেট জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সিলেট প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক এম আহমদ আলী, ইমজার সহ সভাপতি সজল ছত্রী প্রমুখ।
এছাড়া বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সেমিনারে অংশ নেন।