সিলেটের আলোচিত সবজি বিক্রেতা গোবিন্দ দাস হত্যা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত ‘হৃদয় আহমেদ ওরফে সার্কিট’কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
রোববার (০৪ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার গোসাইনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হৃদয় আহমেদ ওরফে সার্কিট (১৯) এসএমপির শাহপরাণ থানাধীন শিবগঞ্জ (সাদিপুর) এলাকার রফিক মিয়ার ছেলে।
ঘটনা সম্পর্কে র্যাব-৯ জানায়, বিগত ০১ জুন ভোরে সবজি ব্যবসায়ী মৃত গোবিন্দ দাস (৩৫) সোবহানীঘাটস্থ কাঁচাবাজার সবজি কেনার জন্য তার চালিত ভ্যানগাড়ী যোগে বাসা থেকে রওয়ানা করেন। ভোর সোয়া ৫টার দিকে ধোপাদিঘীর পূর্বপাড়স্থ হযরত আহমদ চিশতিয়া মাজারের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা দূস্কৃতিকারীরা তার পথরোধ করে ধারালো চাকু দিয়ে গুরুতর আহত করে তার সাথে থাকা আনুমানিক ৭ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আশেপাশের পথচারীরা ভিকটিম গোবিন্দ দাসকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৮টার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই জনারধন সরকার বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার মামলা নং-০২, তারিখ-০১/০৬/২০২৩ খ্রিঃ।
এদিকে ঘটনার ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে, র্যাব গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্তকে ৪ জুন ভোরে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৯ এর সিনিয়র এএসপি ও মিডিয়া অফিসার আফসান-আল-আলম জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় আসামী হৃদয় আহমেদ ওরফে সার্কিট ধারালো চাকু দিয়ে ঘাই মেরে ভিকটিম গোবিন্দ দাসকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামির উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পাওয়া যায়।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সিলেটের কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।