বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইউকে বাংলাদেশ এডুকেশন ট্রাস্টের (আকবেট) উদ্যোগে শ্রমজীবী শিশুদের অংশগ্রহণে আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আকবেট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ডোর স্টেপ লার্নিং’ প্রকল্পের আওতায় গৃহস্থালির কাজে নিয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সক্রিয় অংশগ্রহণে ‘আনন্দমেলা’ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নগরীর মানিকপীর রোডের এক কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আকবেট শ্রমজীবী শিশুদেরকে শিক্ষার সুযোগ প্রদান করা এবং তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। শ্রমজীবী শিশুদের প্রতি আকবেটের যে দায়বদ্ধতা তা সবার জন্যই অনুপ্রেরণার। শ্রমজীবী শিশুদের প্রতি মমত্ববোধ এবং ভালোবাসা থেকে আয়োজিত ‘আনন্দমেলা’ তাদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটাতে সহায়ক হবে।
জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. তাহমিনা ইসলাম, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মোশারফ হোসেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখিকা ও সমাজসেবী ফিরোজা হোসেন, সিলেটের ডাক পত্রিকার অতিথি সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার কাজী মোহাম্মদ জাফর, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল আহাদ, জমজম বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব সোবহানী চৌধুরী, রোটারিয়ান মাহবুবুল হক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আকবেট-এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সায়েম। জেলা শিল্পকলা একাডেমির আবৃত্তি প্রশিক্ষক ও আকবেটের ভলান্টিয়ার নাহিদা খান সুর্মির সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আকবেটের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘ডোর স্টেপ লার্নিং’ প্রকল্পের সমন্বয়ক তানজিনা আক্তার মুক্তা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আকবেট-এর সহকারী পরিচালক ফাহমিদা সুলতানা তানিয়া, প্রোগ্রাম সাপোর্ট অফিসার বাধন রায়, সহকারী মাঠ সমম্বয়ক ইয়াসমিন আক্তার, জুনিয়র কনসালটেন্ট মোহাম্মদ এমরান হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল শ্রমজীবী শিশুদের পরিবেশনায় সংগীত, নৃত্য, নাটিকা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ম্যাজিক শো। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে আকবেটের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে র্যাফেল ড্র’-এর আয়োজন করা হয়। র্যাফেল ড্র’-তে বিজয়ীরা হলেন: প্রথম-শুভ মিয়া, দ্বিতীয়-তাহামুনি আক্তার এবং তৃতীয় খাদিজা আক্তার। এ অনুষ্ঠানে সিলেট নগরীর ১৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ৪০০ এর অধিক শ্রমজীবী শিশু ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।