‘শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যের আলোকে সিলেটে শুরু হলো ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
জেলা কালচারাল অফিসার অসিতবরণ দাশ গুপ্তের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা সিলেটের সভাপতি অনিল কিষণ সিংহ, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সিলেটের সভাপতি হিমাংশু বিশ্বাস, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি ইকরামুল কবীর, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এন্ড জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ, উইমেন্স জার্নালিস্ট ক্লাব সিলেটের সভাপতি সুবর্ণা হামিদ প্রমুখ।
আবৃত্তিশিল্পী রোহেনা সুলতানার সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক উৎসবে বাউল গান, লোকগান, লোকনৃত্য, মণিপুরী নৃত্য, খাসিয়ানৃত্য, কাঠিনৃত্য, ঝুমুরনৃত্য, পুঁথি পাঠ, আবৃত্তি ও ধামাইল পরিবেশনার মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্য বিভাগ, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি গোলাপগঞ্জ, রাধারমণ স্মৃতিতর্পণ, মৃত্তিকায় মহাকাল, ললিত-মঞ্জরী, রংধনু নৃত্যালয় দলদলি চাবাগান, নৃত্যরথ, হিমাংশু বিশ্বাস, মোকাদ্দেস বাবুল, বিরহী কালা মিয়া, বাউল সূর্য্যলাল দাস, গৌতম চক্রবর্ত্তী, পথিক রাজু, নন্দিতা দত্ত, রবিউল আউয়াল রবি, শান্ত দাস, প্রত্যাশা চৌধুরী পুষ্পা ও অন্বেষা ভট্টাচার্য্য।
সিলেট নগর সহ উপজেলা পর্যায় থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে অংশগ্রহন করে। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত এ সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করেন শত শত মানুষ।
এদিকে শুক্রবার বিকেল চার চারটা থেকে একইভাবে থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন। ওইদিন রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হবে দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। নতুন প্রজন্মকে দেশের সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই এমন আয়োজন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।