বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টেলিভিশনের পর্দায় সিলেটের সঙ্গে গাজীপুরকে মিলিয়ে দেখুন। গাজীপুরে শুধু মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, আর সিলেটে চার জেলার মানুষ হাজির হয়েছেন। কাঁথা-বালিশ, বিছানাপত্র, হাড়ি-পাতিল সব নিয়ে নেতাকর্মীরা সারাদেশ থেকে সিলেটে গেছেন। সিলেটে মানুষের ঢল নেই, আছে সুরমা নদীর ঢল। আর গাজীপুরে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ।
তিনি বলেন, খানাপিনা ভালোই চলছে। পাতিলে পাতিলে খাবার, গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছের কোপ্তা, এরপর পেপসিকোলা। ভালোই আছে বিএনপি। ক্ষমতায় না থাকলে কী হবে, তারা ভালোই আছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুর জেলা শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দয়া করে দণ্ডিত আসামি আপনার নেত্রীকে (খালেদা জিয়া) বাসায় রেখেছে। লজ্জা করে না? গণঅভ্যুত্থান করবেন। নেত্রীর মুক্তির জন্য একটি মিছিলও করতে পারেননি। দেশনেত্রী বলতে বলতে তো আপনার মুখ থেকে ফেনা বের হয়।
নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতার পরিবর্তন হলে নির্বাচনেই হতে হয়। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতার পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। তারা (বিএনপি) এখন ক্ষমতার রঙিন খোয়াব দেখছে। খোয়াব যত পারেন দেখেন। দিবাস্বপ্ন কতজনই তো দেখে। খোয়াব দেখেন, তাতে কিছু আসে যায় না।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও ইকবাল হোসেন অপু, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, রুমানা আলী টুসি প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ওবায়দুল কাদের গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দুই জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থীর নাম পড়ে শোনান। পরে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে তিনি গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে আতাউল্ল্যা মন্ডলের নাম ঘোষণা করেন।