সিলেটে জাতীয় ভ্যাট দিবস এবং জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের উদ্যোগে নগরীর মেন্দিবাগস্থ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘আমার ভ্যাট আমি দিব কেনার সময় চালান নিবো’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারো ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ দেশব্যাপী একই সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. মইনুল খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মইনুল খান বলেন, সিলেট বিভাগে যারা সর্বোচ্চ মূসক প্রদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন তাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও দেশের নাগরিক হিসেবে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের আহবান জানান ড. মইনুল খান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সেক্টর সদর দপ্তর, সিলেটের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জি এইচ এম সেলিম হাসান, বিজিবিএম, পিএসসি, জি+, কর অঞ্চল সিলেটের কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ রানা, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমেদ, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. হুরায়রা ইফতার হোসেইন, সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায় সহ ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, মূসক ব্যবস্থা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০১৩ সাল থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর “ভ্যাট দিবস” এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর “ভ্যাট সপ্তাহ” উদযাপন করে আসছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিগত তিন বছর বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি ও সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির পরও বিগত বছরের ন্যায় এবার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর উচ্চতর প্রবৃদ্ধির মূসক আদায় হয়েছে। সিলেটের ব্যবসায়ী এবং মূসক কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার ফলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে মূসক আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম ও কী-নোট উপস্থাপন করেন যুগ্ম-কমিশনার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সেমিনারে সিলেট বিভাগের সর্বোচ্চ ভ্যাট পরিশোধকারী ১০ জন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে সন্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও উৎসে মূসক পরিশোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সিলেট কমিশনারেটের আওতাধীন ১৯ টি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষভাবে সন্মানিত করা হয়।
সন্মাননাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: ১. খাদিম সিরামিক্স লি. সিলেট-উৎপাদন, ২. ইন্টারফোল্ড ট্রেডিং, সিলেট-ব্যবসা, ৩. পাঁচভাই রেস্টুরেন্ট, সিলেট-সেবা, ৪. হেলদি চয়েস ফুডস এন্ড বেভারেজ লিঃ, মৌলভীবাজার -উৎপাদন, ৫. এম.বি ক্লথ স্টোর, মৌলভীবাজার- ব্যবসা, ৬. নভেম লিমিটেড, মৌলভীবাজার-সেবা, ৭. নিটল কার্টিজ পেপার মিলস লিমিটেড, সুনামগঞ্জ- উৎপাদন, ৮. পানসি রেস্টুরেন্ট, সুনামগঞ্জ-সেবা, ৯. মেসার্স এ বি এন্টারপ্রাইজ, হবিগঞ্জ-ব্যবসা, ১০. হাইওয়ে ইন লিমিটেড, হবিগঞ্জ-সেবা।