সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা বৈধভাবে চলাচলের অনুমতি প্রদান ও নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক শ্রমিকরা। একই সঙ্গে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা ও গরীব অসহায় রিকশা চালকদের কাছ থেকে অযৌক্তিকভাবে টাকা আদায় বন্ধের দাবিও জানান তাঁরা।
রোববার (৯ জুন) বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সিলেট মহানগর শাখা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ধানিছ মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ব্যাটারীচালিত রিকশাসহ এরকম অন্যান্য যানবাহন বিচ্ছিন্নভাবে চলাচল করছে। সিলেটেও তারা শত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সিলেট মহানগরীর অলি গলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা দিয়ে যাত্রীসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে এসব রিকশার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের জন্য কোন লাইসেন্স বা অনুমতি প্রদান করছে না। বৈধতা পেতে ইতোমধ্যে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেও কোন ফল পাননি তাঁরা।
ধানিছ মিয়া বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনে আবেদন করলে বলা হয়, বিআরটিএ অফিসে যেতে। সেখানে গেলে কর্তৃপক্ষ বলেন, সিটি কর্পোরেশনে যেতে। এ অবস্থায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কয়েক মাস ধরে পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছেনা। রিকশা আটক করে টোকেন দিয়ে ৫০০ টাকা এবং একটি বিকাশ নম্বর দিয়ে ২৫০০ টাকা গরীব রিকশা চালকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। যার প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
পুলিশের সোর্স দাবি করে কিছু যুবক ট্রাফিক পুলিশের নামে ব্যাটারিচালিত রিকশা আটক করে এসব টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
নেতৃবৃন্দ বৈধভাবে রিকশা চালাতে প্রয়োজনীয় আইন প্রনয়ন সহ তাদের একটি নীতিমালার আওতায় এনে সৎভাবে প্ররিশ্রম করে জীবন যাপন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।