সিলেট নগরীতে আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক ঘণ্টার ব্যবধানে এক কিলোমিটার দূরত্বে এসব কর্মসূচি পালিত হবে। এ নিয়ে ১৯ দিনের ব্যবধানে দল দুটির পক্ষ থেকে তিন দফা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ১৮ ফেব্রুয়ারি তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ শনিবার বেলা ২টায় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করবেন। এ কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য দলটির পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির প্রতিটি ইউনিট বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে, গত বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ শনিবার বেলা ৩টায় আওয়ামী লীগ নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে শান্তি সমাবেশ করবে। দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি সম্প্রতি যতবারই কর্মসূচি ডেকেছে, ঠিক ততবারই আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি ডেকেছে। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। তবে শত বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে চায়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়, মূলত আওয়ামী লীগ শান্তির বার্তা সবখানে পৌঁছে দিতেই একটি চিহ্নিত অপশক্তি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কর্মসূচি ডেকেছে।
তবে দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলেই তিনি মনে করছেন।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কয়েকজন নেতা বলেন, ৪ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুটি দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছিল। তবে দুটি দলই সেবার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করেছিল। আজও আগের মতো আতঙ্ক থাকলেও দুটি দলই শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের কর্মসূচি শেষ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস। তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা ঠেকাতে টহল পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ ফেব্রুয়ারি নগরীর রেজিস্টারি মাঠে বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ করে। ওইদিন শহিদমিনারে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করে। ওইদিন প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে সমাবেশ করলেও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৮০০ গজের দূরত্বে কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের মানববন্ধন স্থলের পাশ দিয়ে বিএনপি পদযাত্রা করে গেলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি সেদিন।