যান্ত্রিকতার প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া পিঠা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতি ধরে রাখতে প্রতি বছরের মতো এবারেও সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টায় প্রবাসি কল্যাণ মন্ত্রী মো. ইমরান আহমদ পিঠা উৎসবের এ আয়োজন পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে সকাল ১০ টায় নৃত্যের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ভারতের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জওসোয়াল, সিলেটের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, কাস্টমস এক্সাইজের অতিরিক্ত কমিশনার রাশেদুল আলম, বিনিয়োগ বোর্ড সিলেটের প্রধান জুলিয়া জেসমিন মিলি, আমেরিকা কর্নার সিলেটের পরিচালক মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানটি দুই অধিবেশনে হয়। প্রথম অধিবেশনে নন্দিতা দত্ত ও সুমন্ত গুপ্তের যৌথ উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসিনা বেগম, ইমজা’র সাধারণ সম্পাদক গুলজার আহমদ, পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাআলম।
আরো উপস্থিত ছিলেন- নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি ও ইমজার সহ সভাপতি বিলকিস আক্তার সুমি, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি লুবানা ইয়াসমিন শম্পা, পরিচালক ওয়াহিদা আখলাক, তাসমিন আক্তার, রাবেয়া আক্তার রিয়া, রাহেলা জেরিন কানন, বিউটি বর্মন, নাসরিন রেগম, সদস্য সালসাবিলা কান্তা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রদীপ প্রজ্বলনসহ গান, নৃত্য ও আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত করা হয়। বিকালে ৪ টায় দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবব রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরন দাস গুপ্ত প্রমুখ। দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।