সিলেট আলিয়া মাদ্রাসায় চলছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আয়োজনে তারুণ্যের সমাবেশ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার এই সমাবেশের শুরুতেই নিজেদের মধ্যে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে বিএনপি ও ছাত্রদল। এতে রক্তাক্ত হয়েছেন এক বিএনপি নেতা।
রবিবার (৯ জুলাই) সিলেট সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশস্থলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র জানায়, সমাবেশে বসার জায়গা নিয়ে গন্ডগোলের এক পর্যায়ে মনজুর হোসেন মজনু নামক এক বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। মজনু জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটি সাবেক সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপি সাবেক সহ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, সমাবেশ স্থলে মঞ্চের সামনের দিকে বিএনপি নেতাদের বসার জন্য আসন সংরক্ষণ করা হয়। সমাবেশ শুরুর কিছু আগে সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ প্রবেশ করছিলেন। এসময় বসার জায়গা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হুলুস্থুল শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হন। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। এরমধ্যে ছাত্রদল কর্মীদের উপুর্জপুরি আঘতে নাক ফেটে রক্তাক্ত হন মনজুর হোসেন মজনু।
পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিষয়টি পরে মীমাংশা করার আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রদল কর্মীদের আঘাতে আহত মনজুর হোসেন এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলার ঘটনা সঠিক নয়, আসলে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো যা আমাদের মহাসচিব মহোদয় সমাধান করে দিয়েছেন। তবে হামলা নাহলে তিনি রক্তাক্ত হলেন কিভাবে এই প্রশ্নের জবাব না দিয়েই তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তী আরও কয়েকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি।