সিলেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে “উন্নয়নের জন্য রাজস্ব” শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমসনীতি বিষয়ক সদস্য (গ্রেড-১) মোঃ মাসুদ সাদিক ও করনীতি বিষয়ক সদস্য এ কে এম বদিউল আলম।
এছাড়াও সভায় সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চঃদাঃ) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, সিলেটের এডিসি (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ক্রমবর্ধমান কর্মকান্ড অনেক সময়ই বিভিন্ন মহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। তিনি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণে এ জাতীয় কর্মকান্ডের অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।
এছাড়াও দেশীয় শিল্পায়ন ও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা বিশেষত “মেইড ইন বাংলাদেশ” কনসেপ্ট-এর গুরুত্ব বিশ্লেষণের পাশাপাশি কাস্টমস হতে আদায়কৃত রাজস্বের ক্রমহ্রাসমান ধারার যৌক্তিকতা ও একইসাথে যেভাবে ভ্যাট ও আয়কর উক্ত ঘাটতি অংশপূরণ করে উদ্বৃত্ত তৈরি করছে তার স্বরূপ ব্যাখ্যা করেন।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গৃহীত নানা পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
পরিশেষে তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উন্মুক্ত আলোচনার আহবান জানালে সমসাময়িক রাজস্ব প্রশাসন সম্পর্কিত নানা ইস্যু বক্তাদের আলোচনায় উঠে আসে।
এরপর দুপুরে সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভার আয়োজন করে রাজস্ব বোর্ড।
এতে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমসনীতি বিষয়ক সদস্য (গ্রেড-১) মোঃ মাসুদ সাদিক ও করনীতি বিষয়ক সদস্য এ কে এম বদিউল আলম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার (চঃদাঃ) মুহাম্মদ রাশেদুল আলম, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।
এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ উন্নয়ন ও রাজস্ব সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারণা উপস্থাপন করেন।
সভায় প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে জাতয়ি রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় বাজেটে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবনাগুলো প্রতিবছরই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্যও ব্যবসা-বাণিজ্য বান্ধব বাজেট প্রণয়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ সারাদেশের ব্যবসায়ী মহলের নিকট হতে প্রাপ্ত উপযুক্ত প্রস্তাবনা সমূহ যথাযথভাবে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান।
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি তাহমিন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে ব্যবসায়ী মহলের সাথে মিলিত হওয়া ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রণয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে যে সব বৃহৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে রাজস্ব আহরণের বিকল্প নেই। তবে চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখাও একান্ত প্রয়োজন। করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লক্ষ টাকা নির্ধারণ, ট্রেড লাইসেন্স নতুন/নবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রিম কর প্রদান রহিতকরণ সহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন চেম্বার সভাপতি।
তিনি আরো বলেন, কয়লাসহ যে কোন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকগণ অগ্রিম শুল্ক-কর পরিশোধ করে থাকেন, কিন্তু কোনো কারণে পণ্য আমদানি নাহলে সরকারি কোষাগারে জমাকৃত অর্থ ফেরত পেতে আমদানিকারকগণকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, তাই কয়লাসহ যেকোনো পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম শুল্ক-করাদি পরিশোধের বিধান রহিত করা প্রয়োজন।
সভায় সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি, সিলেট আয়কর আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি, সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি, সিলেট হসপিটাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডাঃ নাসিম হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গণ এবং প্রেস ও মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ তাদের স্ব স্ব বক্তব্য তুলে ধরেন।