সারা দেশের মতো সিলেট সিটি কর্পোরেশনেও পালিত হয়েছে জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২২। দিবস উপলক্ষে সিসিকের নিবন্ধন ক্যাম্পেইন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দিবস উপলক্ষে নগর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা। সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিসিক মেয়র বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনোভাবেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না পারে।
নাগরিকদের নিবন্ধন করতে আগ্রহী করতে মাঠ পর্যায়ে আরও সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
জন্ম এবং মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হবে বলেও জানান সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এদিকে হয়েছে জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল থেকে নগর ভবনের নীচতলায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ক্যাম্পেইন শুরু হয়। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য প্রদান, নিবন্ধনের জন্য আবেদন গ্রহণ ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নাগরিকদের সহায়তা করেন সিসিকের স্থাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের কাউন্সিলর আজম খান, কাউন্সিলর এবিএম উজ্জ্বল, কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, সচিব ফাহিমা ইয়াসমীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সিলেট সিটি কর্পোরেশন অনান্য জেলা ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে পিছিয়ে রয়েছে। শূন্য থেকে ৪৫ দিনের শিশুদের জন্ম নিবন্ধনে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রতি মাসে ৯০০ জন। চলতি বছরে গত ৩ মাসে জন্ম নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ১৫৩ জন শিশুর। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে সিসিক। একই অবস্থা মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও। প্রতি মাসে মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৫০ জন। কিন্তু গত ৯ মাসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতি মাসে গড়ে মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়েছে মাত্র ৮০ জনের।