দেশের সকল জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌর মেয়রদের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
আজ সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখার সভাপতি আশফাক আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর উপজেলা পদ্ধতি পুনরুজ্জীবিত হলেও এখনো তা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। পরিপত্রে কাজ চলছে এখনো। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে দরখাস্তও করেছে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন।
আশফাক আহমদ বলেন, ২০২০ সালে ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর হামলার পর তাদের গানম্যান দেয়াসহ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান বা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। অথচ এই সিলেটেই পিআইও’র অফিসের সামনে ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু বারবার বলা হলেও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা আর জোরদার করা হয়নি।
আশফাক বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-উর-রশিদ তার বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। তার শরীরে ৪টি গুলি লেগেছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আমরা এই হত্যাচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এরপর তিনি উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগ ও জেলা শাখার পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে- অবিলম্বে দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি কার্যকর, উপজেলা পরিষদের সকল নির্বাচিত সদস্য ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা জোরদার, সকল জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রদের ব্যক্তিগত এবং পরিষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ও বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, সিলেট জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম ও ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপি।