সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজিরবাজারে এলাকার সর্বস্তরের তাওহিদি জনতার উদ্যোগে ইসকনবিরোধী মিছিল ও পথসভা হয়েছে। চট্টগ্রামে আইনজীবি সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকারীদের দ্রুত কঠোর শাস্তি ও দেশে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমআর নামাজের পর এ কর্মসূচি পালিত হয়।
শুরুতেই বৃহত্তর নাজিরবাজার এলাকার কয়েক শ তাওহিদি জনতা সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সালিশি ব্যক্তিত্ব ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. জিলা মিয়া।সাংবাদিক মো. রেজাউল হক ডালিমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদ্যসাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য নজরুল ইসলাম মনির, দারুল কুরআন মাদরাসা নাজিরবাজার’র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল মতিন বাহুবলী, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহিত হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়জুর রহমান শামিম, হাছনরাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্রীয় পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি আসাদুজ্জানাম নুর, সাবেক ছাত্রনেতা ইকবাল আহমদ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সালিশি ব্যক্তিত্ব জয়নুল হক আলম, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার নাজিম উদ্দিন রাহিন, দারুল কুরআন মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মকসুদ হাসান, খেলাফত মজলিস নেতা শামিম আহমদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহিউদ্দিন, জিতু মিয়া, শামসুল ইসলাম, দারুল কুরআন মাদরাসার ছাত্র ও প্রতিভাবান ইসলামি সংগীতশিল্পী আবিদুর রহমান খান, মো. মুহিব হোসেন ও হাফিজ সালিম আহমদ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন- সনাতন ধর্ম আর ইসকন এক নয়। ইসকন কোনো ধর্ম নয়, এটি বিশ্বব্যাপী একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন। এটির জন্মই হয়েছে ইসলামের বিরোধীতা করার জন্য। বিশ্বের অনেক দেশে সংগঠনটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংগঠনের উগ্র সদস্যরা চট্টগ্রামে দিনের বেলা প্রকাশ্যে একজন মুসলিম আইনজীবিকে জবাই করে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি অবিলম্বে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে এ দেশে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। বক্তারা আরও বলেন- বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদের নগ্নভাবে উস্কানি দিচ্ছে ভারত ও দেশটির হলুদ মিডিয়া। তাদের মনে রাখা দরকার- একাত্তরে হিন্দু-মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষেরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করেছে বিজয় নিয়ে এসেছেন। এ দেশে হিন্দু-মুসলিম সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রয়েছে। সুতরাং- ভারতকে এখনই সাবধান হয়ে যেতে হবে এবং উস্কানি ও উগ্রতার পথ থেকে সরে আসতে হবে। তা না হলে ভারতকে চরম মূল্য দিতে হবে।