সিলেটে আজ ‘অভিজিৎ স্মরণ’

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা দিবস আজ। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁকে। তিনি বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার আন্দোলনের সাথে জড়িত এবং সরকারের সেন্সরশিপ ও ব্লগারদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের সমন্বয়কারী ছিলেন।

প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটিতে প্রয়াত অভিজিৎ রায়কে স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেট। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে অভিজিৎ রায়ের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোক প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।

এতে লেখক, সংস্কৃতিকর্মীসহ সকল প্রগতিশীল মানুষের উপস্থিতি কামনা করছে গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেট।

প্রসঙ্গত, অভিজিৎ রায়ের জন্ম ১৯৭১ সালে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অভিজিৎ রায়ের গর্ভবতী মা শেফালি রায়কে ভারতের আসামে রেখে বাবা অজয় রায় অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। দেশ স্বাধীনের চারদিন আগে আসামের শিবনগরের নাজিরা ম্যাটারনিটি সেন্টারে ১২ সেপ্টেম্বর জন্ম নেন অভিজিৎ। তার পিতা একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অজয় রায়।

উদয়ন স্কুল থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাস করেন অভিজিৎ। এরপর ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৯০ সালে এইচএসসি পাস করার পরে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)। বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে তার উচ্চশিক্ষার শুরু। বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পিএইচডি করেছিলেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর থেকে।

অভিজিৎ রায় ব্লগ, ফেসবুক, ম্যাগাজিন এবং দৈনিক পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। মৃত্যুর পূর্বে প্রকাশিত তার বইগুলো হল- আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ (২০০৫), মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে (২০০৭), স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি (২০০৮), সমকামিতা: বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান (২০১০), অবিশ্বাসের দর্শন (২০১১), বিশ্বাস ও বিজ্ঞান (২০১২), ভালবাসা কারে কয় (২০১২) ,শূন্য থেকে মহাবিশ্ব (২০১৪), ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: এক রবি-বিদেশিনীর খোঁজে (২০১৫)।