দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসন থেকে কেন্দ্র ভিত্তিক ফলাফলের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী (কেটলি) প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
কানাইঘাট-জকিগঞ্জ উপজেলার ১৫৮টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী (কেটলি) প্রতীক নিয়ে ৪৭১৫৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৩২৯৭৩ ভোট পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ১৪১৮০ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিন অনেক ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল একেবারে কম। সকাল থেকে ভোট সেন্টারগুলো ছিল একেবারে ফাঁকা। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করায় ভোটাররা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট প্রদান করেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, সিলেট-৫ আসনে শান্তিপূর্ণ ভাবে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করায় কানাইঘাট-জকিগঞ্জবাসীকে মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানান।
তবে পরাজিত আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির গত কয়েকদিন থেকে তাদের সমর্থকদের নানাভাবে হয়রানীর অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে ভোট নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রসজ্ঞত যে, সিলেট- আসন থেকে মোট ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা ড. আহমদ আল কবির ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ২০২৩০ ভোট। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী (সোনালী আঁশ) প্রতীকে ২২০৭ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থী হাত (পাঞ্জা) প্রতীকে ২১৪ ভোট, জাতীয় পার্টির সাব্বির আহমদ লাঙ্গল প্রতীকে ১৭০ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. বদরুল আলম ডাব প্রতীকে ১১৩ ভোট পেয়েছেন।