সিলেট-৩ আসনের হাবিবসহ নৌকা হারালেন যে ২৬ জন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতায় ২৬টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।

এ আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী থাকবে না বলে জানা গেছে। আরও শুরুতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও আসন সমঝোতায় নৌকার হারানোর তালিকায় রয়েছেন সিলেট-৩ আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমান হাবিব।

জাতীয় পার্টির ২৬ আসনের প্রার্থীরা হলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নু, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে জিএম কাদের, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, কুড়িগ্রাম-১ আসনে মুস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকার, সিলেট-৩ আসনে মো. আতিকুর রহমান, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল ও বগুড়া-৩ আসনে নুরুল ইসলাম তালুকদার।

এ ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সুলেমান আলম শেঠ, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পটুয়াখালী-১ আসনে রুহুল আমিন হাওলাদার, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আব্দুল মুনিম চৌধুরী, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল ও বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বিরোধী দল জাপার কয়েকদিন ধরে চলা আলোচনায় গতকাল এ অগ্রগতি হয়। তবে জাপা আরও বেশি আসন চায়। ফলে এ আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

গত শুক্রবার রাতেও সংসদ ভবনে উভয় দলের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। কয়েক দফা বৈঠকের পর জাপাকে ২৬ আসনে ছাড় দিতে সম্মত হয় আওয়ামী লীগ। তবে ঢাকার কোনো আসন জাপাকে দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীনরা। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিত্র জাপার এবারের দাবি ছিল ৫০ আসন। ৩৫-এর কম আসনে সমঝোতায় রাজি নয়- এমন মনোভাবও জানিয়েছিল দলটি।

১৯৯৬ সালে জাপাকে নিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এরপর ২০০৮ থেকে সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি হয়েছে দুই দলের মধ্যে। এবার জাপা পৃথক নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষই আসন বণ্টন করতে সম্মত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলছে আলোচনা।

ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। পরদিন ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। সবশেষ আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।

সুত্র : কালবেলা