বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিজয় দিবস উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয়।
পরে সকাল সাড়ে ৯টায় বিজয় র্যালি করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সিলেট মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কর্নেল ডা. আবুল ফজল জিয়াউর রহমানের মেয়ে শাহরিন রহমান লুবনা। বক্তব্যে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের ভয়ানক স্মৃতি তুলে ধরেন। এসময় তিনি তাঁর মরহুম পিতা শহিদ কর্নেল ডা. আবুল ফজল জিয়াউর রহমানের জন্য সকলের দোয়া কাছে কামনা করেন।
আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম ফজলুর রহমান।
তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৯ মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হাসান মোর্শেদ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) (ভারপ্রাপ্ত) শমশের রাসেল, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার অঞ্জন দেবনাথ, সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) গোলাম সারোয়ার, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মাইদুল ইসলাম চৌধুরীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।