আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও ১৫৮ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলি করছে সরকার। বদলির তালিকায় রয়েছেন সিলেট বিভাগের চার জেলার ১৪ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) বদলির তালিকা অনুমোদন দেয়।
সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫৮ জন ইউএনওকে বদলির দুটি প্রস্তাব পাঠালে এর অনুমোদন দেয় ইসি।
দ্বিতীয় ধাপে সিলেট বিভাগের বদলিকৃত ১৪ জন ইউএনও হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই মাহমুদুর রহমানকে কুলাউড়ায়, সুনামগঞ্জ সদরের সালমা পারভীনকে তাহিরপুরে, কোম্পানীগঞ্জের লুসিকান্ত হাজংকে জুড়ী উপজেলায়, মাধবপুরের মনজুর আহসানকে শাল্লায়, কুলাউড়ার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকারকে দিরাই, গোলাপগঞ্জের মৌসুমী মান্নানকে সুনামগঞ্জ সদরে, শ্রীমঙ্গলের রাজিব মাহমুদ মিঠুনকে গোলাপগঞ্জ, হবিগঞ্জ সদরের আয়েশা আক্তারকে বিয়ানীবাজার, শাল্লার আবু তালেবকে শ্রীমঙ্গল, জুড়ীর রঞ্জন চন্দ্র দে’কে হবিগঞ্জ সদর, বিয়ানীবাজারের আফসানা তাসলিমকে জকিগঞ্জে, তাহিরপুরের সুপ্রভাত চাকমাকে বড়লেখায়, জকিগঞ্জের একেএম ফয়সালকে মাধবপুরে, বড়লেখার সুনজিত কুমার চন্দকে কোম্পানীগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির অনুমোদন দেয় ইসি। ওই তালিকায় ছিলেন সিলেট বিভাগের ছয়জন। বদলিকৃতরা হলেন-হবিগঞ্জের বাহবলের ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমাকে ওসমানী নগর সিলেটে, আর ওসমানীনগরের ইউএনও নীলিমা রায়হানাকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে, সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইউএনও তাহমিলুর রহমানকে হবিগঞ্জের বাহুবলে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ইউএনও সিদ্ধার্থ ভৌমিককে সিলেটের গোয়াইনঘাটে, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ইউএনও মো. সাজেদুল ইসলামকে সিলেটের জৈন্তাপুর আর জৈন্তাপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলামকে জগন্নাথপুরে বদলি করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে কর্মস্থলে ২ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা ইউএনওদের বদলি হয়। এবার বর্তমান কর্মস্থলে এক বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করা ইউএনওদের বদলি করা হলো। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ২০জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচন কেন্দ্রিক বদলি হলেন।