সিলেট মহানগরী থেকে নিখোঁজ হয়েছেন এক আয়ারল্যান্ড প্রবাসীর স্ত্রী। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ তরুণীর নাম তানিয়া আক্তার ইমা (২১)।
জানা যায়, সিলেট মহানগরীর একটি প্রতিষ্ঠানে আইইএলটিএস কোর্স করছিলেন তিনি। গত ২৭ জুন ক্লাস করতে বাসা থেকে বের হবার পর আর বাসায় ফেরেন নি তিনি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা থানা পুলিশের আশ্রয় নেন। গত ৪ জুলাই শাহপরাণ থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়রি করেন (নং ১৬৪) তার বাবা আব্দুস শুকুর। কিন্তু সপ্তাহখানেক পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন হদিস দিতে পারেনি।
বিয়ানীবাজারের তিলপাড়া ইউনিয়নের পীরেরচক গ্রামের মো. কলিম উদ্দিনের সাথে বিয়ে হয় গত জানুয়ারিতে। বিয়ের কিছুদিন পর কলিম উদ্দিন স্ত্রীকে দ্রুত নিজের কাছে নিতে আইইএলটিএস করতে হেক্সাস মেজরটিলা শাখায় ভর্তি করে নিজ কর্মস্থল আয়ারল্যাণ্ড ফিরে যান। ইমাকে রেখে যান তার বড়বোনের বাসায়, মেজরটিলায়। সেখানে থেকেই ক্লাস করতেন ইমা।
ইমার পিতা আব্দুস শুকুর, অনেক আশা নিয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম ছ’মাস আগে। ভালোই চলছিল তার সংসার। মেয়ের স্বামী তাকে নিজের কাছে আয়ারল্যাণ্ড নেয়ার কাজ শুরুও করেছেন। এ অবস্থায় আজ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আমার মেয়ে নিখোঁজ। আমি তার সন্ধানে হন্য হয়ে ঘুরছি। পুলিশের কাছে বারবার ছুটে যাচ্ছি। কিন্তু কোন হদিস পাচ্ছিনা।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে একটি অপহরণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার ধারনা, সামাজিকভাবে তাদের হেয়প্রতিপন্ন করতে এবং ইমা যাতে আয়ারল্যাণ্ড যেতে না পারে সেজন্য তাকে কেউ অপহরণ করে থাকতে পারে।
এদিকে ইমা যে বাসায় থেকে আইইএলটিএস কোর্স করছিলেন, তার বড়বোনের ননদ বেদেনা বেগম জানান, ইমা অনেক আশা নিয়ে লেখাপড়া করছিলেন। স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথেও তার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আয়ার্যাণ্ডে স্বামীর কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল তার।
এদিকে আব্দুস শুকুরের দায়েরকৃত জিডির তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার এসআই আশীষ লাল দত্ত জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা তদন্ত করছেন। তবে এখনো কোন ক্লু পাননি।