সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির গণমিছিল

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহন্তরীন করে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে না দিয়ে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে কারাবন্দি করে সরকার বিএনপিকে নেতা শুন্য করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু তারা জানে না যে দেশের জনগণ সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এখন রাস্তায় নেমেছে। তাই জুলুম ও নির্যাতন করে জনতার এই আন্দোলনকে বন্ধ করা যাবে না। চলমান আন্দোলনের মাধ্যমেই সকল রাজবন্দিকে মুক্ত করে একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। জনগণের দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত গণমিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিছিলটি রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

মোহাম্মদ শাহজাহান আরও বলেন, বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে জনতার জোয়ার নামে। ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা প্রতিনিয়তই রাজপথে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। দেশে যে স্বৈরতন্ত্র ও অপশক্তি বিদ্যমান রয়েছে ,আমরা সেই অপশক্তিকে উৎখাত করার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ দমন-পীড়নের নামে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, যা দেশ-বিদেশে নিন্দনীয় হচ্ছে। এসব ঘটনায় এই দেশের জনগণ হিসেবে আমরাও লজ্জিত হচ্ছি। এর জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়, বাংলাদেশের জনগণ দায়ী নয়। দায়ী এই ফ্যাসিবাদী সরকার। ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে।

সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকির সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী।

গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল হক ও কামরুল হুদা জায়গীরদার, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, ময়নুল হক চৌধুরী, মামুনুর রশিদ মামুন, মো. শাহাব উদ্দিন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জিয়াউল গনি আরেফিন জিল্লুর, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, মহিলা দল নেত্রী সামিয়া বেগম চৌধুরী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ, বিএনপি নেতা মাহবুব কাদির শাহী, নিহার রঞ্চন দে, ফখরুল ইসলাম ফারুক, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, ইশতিয়াক সিদ্দিকী, হুমাইয়ুন আহমদ মাসুক, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, আতিকুর রহমান সাবু, মুকুল মোর্শেদ, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, আফাজ উদ্দিন, আবুল কালাম, মাহবুব চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, শামীম আহমদ, কামরুল হাসান শাহীন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আবুল কাশেম, সাহাব উদ্দিন, ফখর উদ্দিন, মাহবুব আলম, মাসুক আহমদ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, কোহিনুর আহমদ, আজিজুর রহমান আজিজ, আলী আকবর, সারোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, সুরমান আলী, আব্দুল আহাদ, শাকিল মোর্শেদ, মকসুদ আহমদ, আফসর খাঁন, ফাতেমা জামান রুজি, আলতাফ হোসেন সুমন, সুদীপ জ্যোতি এ্যাষ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, ফজলে রাব্বী আহসান, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গির আলম জীবন প্রমুখ।