সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবর্তনকে সামনে রেখে আজ রবিবার (১০ মার্চ) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সমাবর্তনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর নিতাই চন্দ্র চন্দ।
লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আশরাফুল আলম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেবের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি সদস্য শামীম আহমদ, মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন খালেদ হোসাইন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান নঈমা মাসুদ নীলা এবং ইংরেজি বিভাগের প্রধান স্বাতী রানী দেবনাথ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর এ-বছর এসআইইউ-তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের সানুগ্রহ সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। একই সঙ্গে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপিকে তাঁর পক্ষে সভাপতির দায়িত্ব পালনেরও সম্মতি দান করেন। আগামী ১৮ এপ্রিল ২০২৪-এ সমাবর্তন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। পাঁচটি বিভাগের মোট ৬ হাজার ৭শ ২৩ জন শিক্ষার্থী এ সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য তালিকাভুক্ত। ইতোমধ্যে রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত এ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলবে।
ব্ক্তারা জানান, সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশে বিদেশে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। প্রতিদিন অনলাইন এবং অন ক্যাম্পাসে তারা রেজিস্ট্রেশন করছেন। এছাড়া সমাবর্তনকে সফলের লক্ষ্যে পনেরটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাবর্তনে বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকতে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং বাংলা এক্রেডিটেশন কাউন্সিলের শীর্ষস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তনকে সফল করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এসময় সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।