সিলেট অঞ্চলে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না : রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া

কৃষি মন্ত্রনালয়ের (কৃষি সম্প্রাসরণ অনুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেছেন, সিলেট অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না, সেই লক্ষে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রনালয়।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় হাওরে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ১ নং উত্তর পূর্ব ইউপি’র অন্তর্গত পূর্বগড় হাওরে অভিযোজন প্রক্রিয়ায় কৃষক এনামুল মিয়া, সিলু মিয়া ও সুলায়মান মিয়ার ১২৬ বিঘা চাষকৃত জমি পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি কৃষিতে বর্তমান জলবায়ুজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিভিন্ন পন্থা তুলে ধরেন। বিস্তারিত আলোচনা করেন মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সার ব্যবহার, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি বিষয়ে। এছাড়াও তিনি খাদ্য নিরাপত্তা যাতে সঠিক থাকে সম্প্রসারণবিদদের আরও নিষ্ঠার সাথে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। তিনি কৃষিবান্ধব সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করেন এবং তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদাত্ত আহ্বান জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলার উপপরিচালক মো. নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্রশ্রী আরও বলেন, সিলেট অঞ্চলে আলাদা প্রকল্প গ্রহনের মাধ্যমে বেশি করে ধানকাটার মেশিন ও ট্রাক্টর কৃষকদের ৭০ ভাগ ভর্তুকি মুল্যে প্রদান করা হবে। তিনি বানিয়াচংয়ে কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় স্থানীয় কৃষি অফিসার ও কৃষকদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক গ্রুপ গঠন, প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনি স্থাপনের মাধ্যমে হাওরের ৬বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন মরিচ চাষ করেছি। এছাড়াও বেড পদ্ধতি মরিচ চাষ, মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ, রিলে চাষাবাদ প্রযুক্তির আওতায় লাউ-মরিচ-করলা, লাউ মরিচ চালকুমড়া, টমেটো নাগামরিচ চাষ এবং আন্তঃফসল চাষের অন্তর্ভূূক্ত লাউ তরমুজ, লাউ করলা, লাউ চিচিঙ্গা চাষ করে কৃষকরা মাঠে ফসল বুনেছেন।’

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের মহা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খান, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. রকিব উদ্দিন, বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি জীবন আহমেদ লিটন, সেক্রেটারী মো. আব্দাল মিয়া, সাংবাদিক আব্দুল মালিক।

এছাড়াও স্থানীয় কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।