সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির আয়োজনে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী চতুর্থ জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘আর্ট অব লাইট’।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- প্রক্টর অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শাহ আলমগীর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাদ উদ্দিন মাহফুজ, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর বেপারি এবং ফটোগ্রাফিক সোসাইটির উপদেষ্টাবৃন্দ।
উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের শহিদমিনার থেকে ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। প্রথম দিনেই প্রদর্শনী দেখতে আসেন অনেক আলোকচিত্রপ্রেমিরা।
আগামীকাল (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। এবারের আসরে ৭০ আলোকচিত্র শিল্পীর ৮৭টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
গত বছর ০৭ ডিসেম্বর থেকে ০৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দুটি বিভাগে আলোকচিত্র জমা নেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারী ৭৩০ জন আলোকচিত্র শিল্পীর ৩ হাজার ১৫৮টি আলোকচিত্রের মাঝে বাছাইকৃত আলোকচিত্রগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে প্রদর্শনীতে। জাতীয় এই প্রদর্শনীতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন খ্যাতনামা আলোকচিত্র শিল্পী আবির আবদুল্লাহ ও সাইফুল হক অমি। ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দিবসে সব ভাষার প্রতি সন্মান জানিয়ে তৈরি করা হয়ে শহীদ মিনার; যা এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রিয় কুকুর ট্রাম্পির স্মরণে তার ছবি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ট্রাম্পি কর্ণার।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি কিবরিয়া রব্বানি বলেন, ‘সাউপিএস কর্তৃক আয়োজিত ৪র্থ জাতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতায় সারাদেশের আলোকচিত্রশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেছেন। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি ছবি তোলা এবং তা আয়োজনে সবার অংশগ্রহণ এবং সবাইকে আলোকচিত্র নিয়ে উৎসাহিত করা। এই জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ভার্সিটি তথা আলোকচিত্র জগতকে আরও উন্মুক্ত এবং প্রাণবন্ত করা হয়েছে বলে আশা করছি।’
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আকাশ রায় বলেন, ‘এবারের প্রদর্শনীটি আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে আয়োজন করছি, কারণ ছবির আলাদা ভাষা রয়েছে। একটা ছবির মাধ্যমে আমরা অনেক গল্প বলতে পারি। ’